ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ , ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে : আইএসপিএবি আলোচনার কেন্দ্রে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মাঠ কর্মকর্তাদের প্রাক প্রস্তুতি সভার নির্দেশ ইসির পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ রাজধানীর হোটেল থেকে উদ্ধার হলো সিলেটের নিখোঁজ ৪ শিশু দেশের বাইরে গেছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দাবি না মানলে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান আন্দোলনকারীদের রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল, আ’লীগের ৬ নেতা-কর্মী গ্রেফতার গাইবান্ধায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণ অভিযুক্ত ধর্ষক ঢাকা থেকে গ্রেফতার আখের অভাবে চালু হচ্ছে না পঞ্চগড় চিনিকল ৪ ভাগে বিভক্ত বিএনপি নির্ভার জামায়াত মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের বিরোধে গুলি করে যুবককে হত্যা শ্রীপুরে ট্রেনের নিচে পড়ে একজনের মৃত্যু জামায়াত তুরাগ মধ্য থানার উদ্যোগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে ককটেল-পেট্রোল বোমা উদ্ধার, গ্রেফতার ১ পুলিশের নাকের গডায় হত্যা মামলার আসামীরা টাঙ্গাইলে সিএনজি অটোরিকশায় ট্রাকচাপা, নিহত ২ সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের পাঁচ মামলা প্রশাসনে পদের চেয়ে অনেক বেশি পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংখ্যা টঙ্গী-উত্তরখানে অবৈধ গ্যাসে চলছে কারখানা

সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম জাতীয় সংসদ-সালাহ উদ্দিন

  • আপলোড সময় : ২৭-১০-২০২৫ ০৮:০৫:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-১০-২০২৫ ০৮:০৫:৩৮ অপরাহ্ন
সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম জাতীয় সংসদ-সালাহ উদ্দিন
জুলাই সদন বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম ‘নির্বাচিত জাতীয় সংসদ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাল্হা উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, জুলাই হচ্ছে জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক সমঝোতার একটি ঐতিহাসিক পূর্ণাঙ্গ দলিল। যা বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সেই বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম হচ্ছে একটি নির্বাচিত জাতীয় সংসদ। এখানে কোনও দলের সে বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যাতে জাতীয় সংসদ বাধ্য থাকে, সেজন্য একটা আইনি ভিত্তি করতে এখন সেই প্রস্তাব, অথবা সুপারিশ সরকারের কাছে দেওয়া এবং সেটা দেওয়ার পরেই আমরা জানতে পারবো—কী প্রক্রিয়ায় সেই আইনটা রচনা করতে চাচ্ছে। গতকাল রবিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাল্হা উদ্দিন আহমদ এই মন্তব্য করেন। রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও ফারুক খানের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সালাহ উদ্দিন বলেন, আমি সবার অবগতির জন্য বলতে চাই, সব রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, দেশবাসীর কাছে আবেদন করতে চাই, আমরা যেন কোনোভাবেই আইনানুগ প্রক্রিয়ার বাইরে না যাই, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাইরে না যাই। আমরা যেন এই জাতিকে একটি সুষ্ঠু নিয়মতান্ত্রিক ধারার মধ্য দিয়ে পরিচালনা করি। কারণ, অনেকেই আবেগের বশবর্তী হয়ে বলে থাকেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জনগণের যে অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে, সে অভিপ্রায়ের অবনতি ঘটবে বলে অনেক কিছু বৈপ্লবিক আদেশ জারি করা যায়। এই বক্তব্য হচ্ছে আবেগের। কারণ জনগণের অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করার জন্যেই আমরা সবাই সংবিধানের আশ্রয় নিয়েছি এবং সাংবিধানিকভাবেই এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আইনানুগভাবে সাংবিধানিকভাবে আমরা এই রাষ্ট্রটা পরিচালনা করছি।
সালাহ উদ্দিন বলেন, এখানে কিছু কিছু বিষয়ের মধ্যে অনেকে বিতর্ক নিয়ে আসেন যে প্রকৃত সাংবিধানিকতাকে কী রক্ষা করা গিয়েছে? আমরা সব সময় উত্তর দিয়েছি। যত কিছু আমরা সংবিধানের ১০৬ ধারার মধ্য দিয়ে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটার লেজিটিমেসি পরবর্তী পার্লামেন্টে অবশ্যই সরকারের কর্মকাণ্ডকে যখন বৈধতা দেওয়া হবে, তখন সেটা সংবিধানের চতুর্থ তফশিলে ধারণ করে তাকে বৈধতা দেওয়া হবে। রেটিফিকেশন করা হবে, অন্যান্য আইন কানুন যেগুলো পাস হয়েছে— সেগুলো রেটিফিকেশন লাগবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি কোনও না কোনও ব্যত্যয় হয়ে থাকে, সেই ব্যত্যয়গুলোকেও বৈধতা দেওয়া হয়ে থাকে—এটাই নিয়ম, এটাই আমাদের ঐতিহ্য এবং সাংবিধানিক ঐতিহ্য। সুতরাং আমরা সেই প্রোফাইল নিয়ে যেন আবার এমন কোনও অসাংবিধানিক পদ্ধতির দিকে না যাই, যাতে ভবিষ্যতে এটা নিয়ে আবার প্রশ্ন না উঠে যে, যার আদেশ জারি করার কথা, তিনি করলেন না। যেভাবে আদেশ জারি করার কথা সেভাবে হলো না, সেই আদেশের ভিত্তি যদি আইনানুগ না হয়, তাহলে সেই আদেশের আইন কীভাবে রচিত হবে এবং সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য কীভাবে আবার পার্লামেন্টে নেবে। এই কথাগুলো যেন আমরা বলি।
তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ যেটা প্রণীত হয়েছে, যেভাবে সবাই স্বাক্ষর করেছেন এবং সেখানে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ সহকারে সংক্ষিপ্ত হুবহু এই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য, সার্বভৌম জনগণের সব সম্মতির ভিত্তিতে যখন একটা পার্লামেন্টে বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হবে, তখন সেই জায়গা থেকে কোনও সংসদ সদস্য এবং সেই জাতীয় সংসদ সরতে পারবে না। সেটাই হচ্ছে প্রকৃত জনগণের অভিপ্রায় এবং কনস্টিটিউশন পাওয়ার।
তিনি বলেন, জনগণের কনস্টিটিউশন পাওয়ারটা গণভোটের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলেই সেই পার্লামেন্ট তার বাইরে যেতে পারবে না। এটা অপর নামই হচ্ছে এই ‘কনস্টিটিউট পাওয়ার’ বা দার্শনিক ক্ষমতা জনগণের সার্বভৌমত্বের অধিকারী হিসেবে আর্টিকেল সেভেন অনুসারে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমার ভাই যারা নতুন রাজনৈতিক দল করেছেন-এনসিপি, তাদের অনেক রকমের বক্তব্য আছে, যেগুলো আমরা নিজেরাও ধারণ করি। কিন্তু সেগুলোকে একটা বাস্তব রূপ দিতে হবে এবং বাস্তবের নিরিখে কথা বলতে পারি— আমরা যেন এমন কোনও প্রস্তাব না দেই, যাতে করে ভবিষ্যতে সেই প্রস্তাবগুলো সে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কেউ জুডিশিয়ারের কাছে নিয়ে যেতে চায় এবং আমাদের এই টোটাল প্রক্রিয়াটাকে কেউ যেন অবৈধ বলে আওয়াজ না দিতে পারে। এগুলো আমি আজকের জন্য বলছি না, আগামী পাঁচ বছরের জন্য বলছি না, আগামী ১০ বছর পরে বা ১৫ বছরে যাতে এই প্রশ্নটা নিয়ে কেউ আদালত না যেতে পারে, সেরকম একটা ভিত্তি আমাদের এখনই রচনা করতে হবে। আমরা অতি সাবধানে আমাদের অর্জিত যে সাফল্য, সেই সাফল্যকে আরও সাফল্যের জন্য সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স